যশোর প্রতিনিধি: ডাক্তার হবিবুর রহমান। যশোর ঝিকরগাছার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা একজন সাদা মনের মানুষ। জীবনের অর্ধেক সময় ব্যয় করেছন মানুষের কল্যাণে। সমাজের আর বাকি ১০ জনের মতো অর্থ, যশ বা খ্যাতির পিছনে না ছুটে জীবনের মূল্যবাদ সময় পার করছেন দরিদ্র রোগীদের সেবায়।

ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পর বন্ধুদের মতো সমাজে প্রতিষ্ঠত না হয়ে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন সমাজের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে। তার গ্রাম ঝিকরগাছায় তিনি গরিবের ডাক্তার হিসাবে পরিচিত। তিনি গ্রামের কোনো রোগীর কাছ থেকে ভিজিট না নিয়ে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র দেন। কোনো রোগী ওষুধ কিনতে না পরলে বা কাছে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য টাকা না থাকলে তিনি নিজ তহবিল থেকে সে সব খবর বহন করেন।

বর্তমান তিনি যশোর শহরের জেনারেল হাসপাতালের সামনে পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সামান্য ভিজিটে রোগী দেখছেন।
সম্প্রতি রোগী দেখার ফাঁকেই কথা হয় ডাক্তার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, তার জন্ম গ্রামের সাধারণ কৃষক পরিবারে। তখন পল্লিচিকিৎসকদের ওপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষ সময় যথাযথ চিকিৎসা পাননি। তাই তার বাবা ও মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেবে। সেই স্বপ্ন থেকেই তিনি মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন। কেউ নিজ ইচ্ছায় ভিজিট দিলে নেন, না দিলে তাবে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করেন।
নুর নাহার (৩৫) নামের স্থানীয় একজন নারী বলেন, ‘টাকা দিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাই বেশিরভাগ সময় তিনি হাবিবুর রহমানের কাছে চিকিৎসা নেই। খুবই আন্তরিকতা নিয়ে চিকিৎসক রোগী দেখেন।

শাহজালাল ভূঞা বলেন, হাবিবুর রহমান নিজ গ্রাম ছাড়াও আশপাশের গরিব ও অসহায় রোগীরা বেশ ভালো স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবে নাম ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি ফি নেন না, জরুরি ওষুধও দেন। তার মতো অন্য চিকিৎসকরা এগিয়ে এলে গরিব ও অসহায় রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন।